বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট - Top 10 Government of Bangladesh

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত শিক্ষা নামে পরিচিত এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কারণ আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব। বাংলাদেশের সেরা ১০ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে।

আমরা অনেকেই আছি যারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করতে চাই। তাদের জন্যই আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি পড়ে জেনে ফেলুন বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সম্পর্কে।

বাংলাদেশে অনেকগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে কিন্তু সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানি সমান নয়। হয়তো কোন গোলার অনেক কম আবার অনেকগুলো যেগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলো খুবই নামকরা। আর আমরা সকলে কমবেশি সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করতে চাই। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে বাংলাদেশের সেরা ১০ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনগুলো হতে পারে সেই সম্পর্কে।

তাই আপনি চাইলে এই তালিকা গুলো দেখে বুঝে নিতে পারবেন কোন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট টি বাংলাদেশের সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত রয়েছে। আর আমরা সকলে চাই সেরা পলিটেকনিকগুলোতে পড়াশোনা করতে। সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই জানতে হবে সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনগুলো। তো চলুন দেরি না করে নিচে থেকে জেনে নেওয়া যাক।

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: বাংলাদেশের সেরা ১০টি পলিটেকনিকের নাম আসলে প্রথমেই ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম চলে আসে। কারণ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার মান দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। তাছাড়া একটি একটি প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান। এটি আমেরিকার ফট ফাউন্ডের অর্থায়নে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়ে ১৯৯৫ সালে।

সেই সময় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম ছিল, ইস্টবেঙ্গল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। পরবর্তী সময়ে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন এই পলিটেকনিক এর নামকরণ পরিবর্তন করে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামকরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট:পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ বাংলাদেশের প্রথমতম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ঢাকার পরে যদি কোন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম এসে থাকে এটি হলো চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ স্বাধীন এর আগে স্থাপিত করা হয় ১৯৬২ সালে।

সেই সময় বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর পথ চলায় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে রয়েছে 70 পার্সেন্ট শিক্ষার্থী সরকারি ভাতা প্রাপ্ত। তাছাড়াও ১০০%কেই উপবৃত্তি সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই এর সুনাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজশাহী সফুরাতে ১৯৬৩ সালে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত করা হয়।

সেই সময় এই প্রতিষ্ঠানটি ডিজাইন করার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক বড় এবং শিক্ষাবৃত্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।

বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: এটি হল বাংলাদেশের মধ্যে একটি অন্যতম নামকরা সরকারি প্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ফর ফাউন্ডেশন লেন পাকিস্তান সরকার প্রতিষ্ঠান স্থাপিত করে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠান লগ্নে শুধু তিনটি ডিপার্টমেন্ট সমূহ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এই প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি অবকাশ ভাবে পাঠ্য, বাংলা,, ইংরেজ গণিত, রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি

বিষয়ে পাঠ্য এর উদ্দেশ্যে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ তৈরি করে। ১৯৯৫ সালে সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে নির্বাচিত হয়ে শিক্ষাগত মান ভালো থাকার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় এবং সেরা পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুনামধন্য এবং বৃহৎ একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬২ সালে ফট ফাউন্ডেশন অর্থনে স্থাপিত করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করার পরে ওকলোহমা ইউনিভার্সিটির পাঠ্য অনুসারে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শুরু হয়। তবে বর্তমানে সেখানে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করানো হচ্ছে এখন।

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট:১৯২৫ সালে নিজ অর্থায়নে পাবনা শহরে বি এল ইলিইযট নামে একটি টেকনিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত করা হয়। তৎকালীন সময়ে জমিদার স্ত্রী বনমালি রায় ।পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকারের প্রত্যয়নে বি এল ইডিয়ট কলেজটিকে, পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট. নাম দেওয়া হয়।

এবং পরবর্তীতে পূর্ণরাই স্থাপন করা হয়। পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এই প্রতিষ্ঠানটির সুনাম প্রথম থেকেই চারদিকে খুবই সরিয়ে রয়েছে। পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ১০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান সময়ে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বেস্ট কিছু ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।

সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: ১৯৫৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি ফট ফাউন্ডেশন এর নিজ অর্থায়নে স্থাপিত করা হয়। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ডিজাইন নকশা করেছিলেন। উপমহাদেশের বিখ্যাত স্থাপিত শিল্পী সামারুল ইসলাম । সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাঁচটি অনুচ্ছেদ নিয়ে তাদের পথদাতা শুরু করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা করছে তাদের মোট সাতটি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একই সাথে এবং একই বছর স্থাপিত করা হয়েছিল। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বর্তমান সময়ে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়েছে।

কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ভিন্ন একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেটি হল এটি কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, সমাজ, বিজ্ঞান শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। আর এই সকল কারিগরি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ননটেক শিক্ষা বিভাগ রয়েছে।

রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম এবং নামকরা একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৮৮২ সালে বিলি ব্রিজ গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নামে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করেছিলেন। দক্ষতা অর্জন এবং বাংলাদেশ শিক্ষা কারিগরির মান বৃদ্ধির জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করা হয়। এই রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি শিক্ষার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক অবদান রয়েছে।

পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার করতে পারবে গৃহীত আটটি কর্মসূচি অধ্যায়নে রংপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। এরপর ১৯৬৮ সালে আবারো নামকরণ পরিবর্তন করে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে নামকরণ করা হয়। এবং পরবর্তীতে, ১৯৯২ সাল থেকে ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সালে অনুষদ সংযোগ করা হয়।

খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: বাংলাদেশের উন্নত এবং বিপথ একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটিতে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। 1963 সালে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত করা হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একটি উন্নত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এখানে মোট ৯ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।

প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার যার জন্য বাংলাদেশের সেরা ১০ টি সরকারি পলিটেকনিক হচ্ছে এগুলো। যেগুলো শিক্ষার মানে দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বৃহৎ এবং অনেক প্রাচীনতম। বাংলাদেশের সেরা ১০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম আসলে এই দশটি পলিটেকনিক অবশ্যই আসবেই। আপনি যদি সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তে চান তাহলে অবশ্যই এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ