মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি - মাসিক নিয়মিত হওয়ার কারণ
প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন মাসিক কেনো হয়, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি, মাসিক নিয়মিত হয় না কেনো, মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে মাসিক রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। মাসিক প্রতিটা মেয়ের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস সেজন্য প্রতিটা মেয়েকে এটি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানা দরকার।
সেই ভালোভাবে জানার জন্য এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং সবকিছু শিখে নিতেও পারবেন। তো চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, মাসিক কেনো হয়,মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি, মাসিক নিয়মিত হয় না কেনো, মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে বিস্তারিতের নিচে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র:মাসিক অনিমিত হওয়ার কারণ কি এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি
মাসিক কেনো হয়
অনেক মেয়ে আছে যে জানে না মাসিক কেনো হয় এ সম্পর্কে মাসিক শুনতে খারাপ লাগল এটা মেয়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যেটি প্রতিটা মেয়ের জীবনে একটি আল্লাহ তরফ থেকে পাওয়া রহমত। আমরা অনেকে জানি না যে মাসিক কোন বয়স থেকে হয়ে থাকে এটা মূলত ১১ থেকে ১২ বছর বয়স হলে শুরু হয় এবং প্রায় ৪৯ বছর পর্যন্ত এটা চলতেই থাকে। মাসিক যেটা প্রতিটা মেয়ের জীবনে শুরু হওয়ার পথ থেকে ২৮ দিন পর একবার করে হবেই।
এটা ২৮ দিনের সাত দিন আগে বা ২৮ দিনের সাত দিন পরে হতেও পারে। এতে কোন সমস্যা দেখা দিবে না কিন্তু এটি যদি ৩৫ দিন পর হয় বা ২৮ দিনের সাত দিন আগে হয় তাহলে সে মেয়েকে অসুস্থ বলে গণ্য করা হবে। তাকে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। মাসিক আগে বা পরে হওয়ার কারণ হলো এটি এক ধরনের হরমোনের কারণে আগে বা পরে লেট করে থাকে। মাসিক প্রতিটা মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একটি জিনিস যেটি মেয়েদের অনিয়মিতভাবে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আমরা হয়তো মাসিকের কথা শুনলে অনেকেই ভয় পায় বা ঘৃণা করি, এটা মোটেও এমন কোন বিষয় না একজন মেয়েকে বাচ্চা প্রসাব করার জন্য বা জন্ম দেয়ার জন্য তার অবশ্যই মাসিকের প্রয়োজন কোন মেয়ে যদি মাসিকের সমস্যা থাকে তাহলে সে বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হবে না। এজন্যই মাসিক হওয়াটা প্রতিটা মেয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটা মানুষেরই জীবন সুন্দর করার জন্য বাচ্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেজন্য নিজের শরীরের দিকে প্রতিটা মেয়েকেই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে তাদের কখন কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এবং সে সমস্যাগুলো স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক সেটাও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। মাসিক হওয়ার সর্ব উত্তম সময় হলো, যখন মাসিক হবে তার পরবর্তী ২৮ দিন পর আবার হবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মাসিক কেন হয় বা এটি হলে কি হয়।
মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ কি
অনেক মেয়ে আছে বলে যে তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। মাসিক কোন সময় বন্ধ হয় না মাসিক হয়তো কয়েকদিন লেট হয়ে থাকে বা অনেকদিন পিছিয়ে গিয়ে থাকে। এটি নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে এটি ভয় পাওয়ার বিষয় হলো অতটাও ভয় পাওয়ার বিষয় নয় যতটা মানুষ সবাইকে দেখে থাকে। মাসিক হওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হলো যখন মাসিক শুরু হবে তারপর প্রতি ২৮ দিন পর আবার দেখা দিবে এটি যদি কোন কারনে সাত দিন আগে হয়।
তাহলে ভয় পাওয়ার কোন বিষয় নেই বা ২৮ দিনের সাত দিন পরেও হয় তাহলেও ভয় পাওয়ার কোন বিষয় নেই। কিন্তু এই মাসিক যদি মাসিক হওয়ার ১৫ থেকে ২০ দিনের ভিতরে এক কথায় আগে হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাছাড়াও এ মাসিক যদি ২৮ দিনের সাত দিন পর এক কথায় ৩৫ দিনের পর হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার শারীরিক সমস্যা আছে।
অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে এ সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করতে হবে। আবার কখনো কখনো দেখা দেয় শরীরে বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা যখন বেশি হয়ে যায় তখন আগে হয় বা প্রচুর পরিমাণে ফাস্টফুড খাওয়ার খাওয়া হলেও অনেক সময় আগে হয় আবার কখনো কখনো দেখা যায় অনেক পরে হয়।
কিন্তু মাসিক কখনো একবারে বন্ধ হয়ে যায় না হয়তো কিছুদিন লেট করবে কিন্তু হবেই কিন্তু এলে এটি প্রতিটা মেয়ের অনেক ক্ষতি করে থাকে সেজন্য এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন গাইনি ডাক্তারের সাথে ভালোভাবে পরামর্শ করে নিতে হবে।
মাসিক নিয়মিত হয় না কেনো
অনেক মেয়ের সমস্যা হয় যে মাসিক নিয়মিত হয় না কেন মাসিক নিয়মিত না হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মাসিক মূলত মানুষের শরীরের উপর ভিত্তি করে হয় মানুষের শরীরে কত পারসেন্ট ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি আছে সবকিছু ওপরে নিয়ন্ত্রণ করে এটি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক মেয়েদের মাসিক অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায় এ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে আবার কখনো কখনো দেখা যায়।
মাসিক হতে অনেক লেট করে এটা আরো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক মেয়ে আছে যে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকে যে সাপ্লিমেন্ট গুলো খাওয়ারও কিছু নিয়ম থাকে। অনেকেই আছে এল পাতারে সাপ্লিমেন্ট খেতে থাকে যার কারণে ও মাসিক বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে বা অনিয়মিত হয়। এছাড়া স্টোরজেন ও কোলেস্টেরলের হরমোনের সমস্যার কারণেও অনেক সময় মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
এছাড়া ফিউবারকি বা মেনুপজ যখন বয়সন্ধিকালে আপনার মাসিক শুরু হয় সে সময়ে যখন আপনার মাসিক শুরু হয় তখন থেকে ১৬ অথবা ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়া মেনু পদের সময় ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সে ও অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাটা দেখা দিয়ে থাকে। এছাড়া প্রেগনেন্সি অবস্থায় মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা একমাস পর পরে অল্প পরিমাণে ব্লিডিং হওয়া বা রক্তক্ষরণ হওয়া এটা স্বাভাবিক বা এটা প্রেগনেন্সি অবস্থায়।
প্রথম দুই তিন মাস এটা হয়ে থাকে। তাছাড়াও আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ফাস্টফুট জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকি। যে ফাস্টফুটে অতিরিক্ত তেল বা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকার কারণে আমাদের মাসিক অনেক সময় খুব তাড়াতাড়ি হয়। আবার অনেক সময় অনেক হতে লেট করে এটা শুধু অতিরিক্ত তেল খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে বা ফাস্টফুড খাবারের কারণে হয়ে থাকে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মাসিক নিয়মিত কারণ হয় না কেনো।
মাসিক এর ব্যথা কমানোর উপায়
আমরা অনেকেই আছি জানিনা যে মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় কি আসলে মাসিকের ব্যথা কমানোর সেভাবে কোন উপায় নেই। কিন্তু অনেক অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পেন কিলার বা ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ফলে সাময়িক সময়ের জন্য এই ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় পেটে হালকা পরিমাণে চাপ বাড় কোন কিছুতে বেঁধে রাখলে এ ব্যথা থেকে সাময়িক সময়ের জন্য কোন রকম আরাম পাওয়া যায়।
এ ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি যে জিনিসটা কার্যকর করে গরম পানি গরম পানি শিকদার ফলে এই মাসিকের ব্যথা থেকে খুব ভালোভাবেই আরাম পাওয়া যায়। তাই যখন আপনাদের প্রচুর পরিমাণে ব্যথা শুরু হবে হালকা কুসুম গরম পানি করে নিয়ে ওয়াটার ব্যাগ এ তুলে সেটি দিয়ে আপনার পেটে চেক দিতে পারেন অথবা একটি বোতলে গরম পানি তুলে সেটিও আপনার পেটে ঠেকিয়ে তাপ দিতে পারেন এ তাপের ফলে আপনি অনেক আরাম পাবেন।
তাছাড়াও মাসিক এর প্রথম দিন হালকা পরিমাণে ব্যথা হয়। এই ব্যথাটা দ্বিতীয় দিন এবং দ্বিতীয় দিন প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে চতুর্থ দিন থেকে আস্তে আস্তে এ ব্যথাটা কমে যায় আবার ছয় নাম্বার বা সাত নাম্বার দিনে এ ব্যথাটা আবারও হালকা পরিমাণে কিছুটা বেড়ে যায়। এ ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি চাইলে পেইনকিল আর খেতে পারেন এই পেইনকিলার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি সাময়িক সময়ের জন্য ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন ।
পেইনকিলার খাওয়ার পরও যদি আপনার ব্যথা না কমে তাহলে আপনি ওয়াটার ব্যাগে পানি ভরে বা বোতলে পানি ভরে গরম পানি দিয়ে আপনি চেক দেন তাহলে আশা করি আপনি মাসিকের তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন কিছু সময়ের জন্য আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে।
ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url