সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তার ১০টি উপায়

প্রিয় পাঠকগণ,সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তা যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে আপনার জানাটা খুবই প্রয়োজনীয়। সিজারের পর একটা মেয়ের বা একটা মায়ের অনেক যত্ন নিতে হয়। যদি সঠিকভাবে যত্ন না নিয়ে যেতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যা বা প্রবলেম দেখা দিয়ে থাকে। আর আপনি যদি সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন হয় তা যদি জেনে থাকেন তাহলে সেভাবে আপনি যদি যত্ন নিয়েন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি রোগীটি সুস্থ হয়ে যাবে।
সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়
তাহলে আজকের আর্টিকেলটি থেকে জেনে নিতে পারবেন যে সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিতে হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিতে হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আজকে এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে। জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্র: সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তা জানুন

  • সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
  • সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়
  • সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
  • সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত
  • শেষ কথা:

সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এই বিষয়ে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিজারের পর অসুস্থ রোগী বা মায়ের অনেকটাই যত্ন নিতে হয়। কিন্তু আমরা সেটা অনেকে জানিনা তাই সঠিকভাবে যত্ন নিতেও পারি না। আমরা সঠিকভাবে যত্ন নেওয়ার না কারণে একজন রোগী কেউ বা সিজার করা মাকে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে যে সিজারে পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিতে হয় সেই উপায় গুলো।
  1. সিজার করলে যেহেতু পেটের একটি অংশ কাটা হয় সেজন্য অনেকটা যত্ন নিতে হবে যাতে সে স্থানে কোন ধরনের ঘা বা ইনফেকশন না দেখা দিতে পারে।
  2. সন্তানকে দুধ পান করানোর জন্য সঠিকভাবে বসতে হবে এবং যখন কোন মহিলা শিকারের মাধ্যমে সন্তান জন্মগ্রহণ করাতে হবে সেই পেট কাটা হয়ে থাকলে সেজন্য বারবার উঁচু-নিচু হওয়া যাবে না।
  3. সিজারের পর একটা মায়ের যত্ন হিসেবে বেশি বেশি ভিটামিন খাবার খাওয়ানো উচিত বা প্রয়োজন। কারণ যখন সন্তান গর্ভে থাকে তখন একটি মায়ের অনেক পুষ্টির ব্যাঘাত ঘটে আর সন্তান জন্মের পর যেহেতু সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয় সেজন্য অনেকটা পুষ্টির ও প্রয়োজন হয় তাই পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে।
  4. অনেককে সিজার করার পরে ঘাড়ে এবং কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। সেজন্য ঘাড়ে এবং কোমরে ব্যথা কমাতে চাইলে একজন সিজার আর মাকে মাজায় বেল্ট ব্যবহার করতে হবে এবং সব সময় রেস্টে থাকতে হবে।
  5. একজন সিজার আর মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ এই সময় অনেক ভয়ে থাকে সেজন্য সিজার করার পরে টয়লেটের কোন ধরনের কাজ থাকতে গেলে ক্ষতি হতে পারে তাই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
  6. ভারী কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত ভারী কোন কিছু যদি জাগাতে যায় বা কাজ করতে যায় গিয়ে পেটে টান লেগে কাঁটা অংশে ক্ষতি দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত টেনশন নিতে হওয়া যাবে না। আশা করি জানতে পেরেছিলেন যে সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়

সে জাতীয় ক্রিটিক্যাল ব্যাপার সিজার করলে একজন মায়ের সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়। তারপরে পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে না অনেকে আর পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে যদি আবার বাচ্চা নেই তাহলে এতে করে মায়ের মৃত্যুকেও থাকতে পারে। আর একজন সিজারাল মাকে বা মহিলাকে সবদিক দিয়ে সুস্থ হতে হবে কমপক্ষে দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে।

তাই সিগারেট কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় এই বিষয়টি যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন যে সিজারের মাধ্যমে একটি বাচ্চা গ্রহণ হওয়ার দুই বছর আগে আর বা পরে কোন বাচ্চা নেওয়া যাবে না যদি বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করি বাচ্ছা হয় তাহলে সেই মায়ের মৃত্যু লক্ষ্য থাকতে পারে। আর একজন সিজারাল মা বা মহিলা সবদিক দিয়ে সুস্থ হতে কমপক্ষে দু বছর সময় লেগে যায়।

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

সিজারের কতদিন পরে সেলাই বা সে ঘাটা শুকাবে এটা সঠিকভাবে বলা যায় না। কারণ সবার শরীরে এক না বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় এ কারণে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন সময় লেগে যায়। শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা যদি থেকে থাকে তাহলে সেলাই শুকানোর জন্য তবে কিছুটা কম বেশি সময় লেগে যায় তাও কমপক্ষে দুই মাসের মতো সময় সবারই লেগে যায়।আর যাদের শরীর একটু টান থাকে বা মাংস শুকনো শুকনো ভাব থাকে।

তাদের শুকাতে খুব বেশি একটু সময় লাগে না তাদের তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। আর যাদের শরীর একটু রসালো বা ঢিল থাকে তাদেরকে একটু বেশি দিন সময় লেগে যায় আবার অনেকের দেখা যায় যে কাটা অংক দিয়ে রক্ত পুঁজ বের হতে থাকে। তাদের সেই কাঁটা স্থানটি শুকাতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার নিজের যত্ন বা পরিচর্যা নিতে পারেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে ঘা শুকিয়ে যাবে।

সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত

সন্তান জন্মের আগেও পরে একজন মাকে কিভাবে পরিচর্যা করতে হয় এ সম্পর্কে জেনে রাখুন। কারণ সন্তান জন্মের আগে মায়ের অনেক যত্ন নিতে হয় আর যদি সঠিকভাবে যত না নিতে পারেন তাহলে এতে করে মা এবং সন্তানের দুজনের ক্ষতি হতে পারে। তাই আগে আপনার জেনে নিতে হবে মায়ের যত্ন কিভাবে নিতে হয়।
  1. প্রসাবের তারিখ গণনা করা
  2. সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার
  3. ভারি কোন কাজ না করা
  4. সঠিক সময় টিকা গ্রহণ
  5. দীর্ঘ পথ ভ্রমণ না করা
  6. বিশ্রাম নেওয়া এবং ঘুমানো
  7. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
  8. ঢিলেঢালা পোশাক পর
প্রসাবের তারিখ গণনা করা:যখন সন্তান গর্ভে থাকবে তখন আপনার সন্তানকে প্রস্তাবে তারই গণনা করা খুবই প্রয়োজন কেননা আপনি যদি এই বিষয়ে অবগত না করে থাকেন তাহলে এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি নিয়মিত বা কিছুদিন পরপর ডাক্তারের কাছে যাবেন সম্ভবত তারিখ গণনা করবেন।

সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার: একজন গর্ভধার মায়ের যত্নের মাধ্যমে হলো একটি সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার নেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ সময় একজন গর্ভধারী মা যে খাবারগুলো খায় সেগুলো সন্তানের পুষ্টি লুকাতে থাকে। সে যেন সন্তান জন্মের আগে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার ফল ভিটামিন খেতে হবে।

ভারি কোন কাজ না করা: আপনার বাসায় যদি কোন গর্ভধারি মহিলা থাকে তাহলে তাকে দিয়ে ভারী কোন কাজ করাবেন না। আর যদি আপনি একজন গর্ভধারী ময়লা হয়ে থাকেন তাহলে ভারী কাজ থেকে বিরত থাকবেন কারণ ভারী কাজ করার ফলে আপনার পেটে চাপ লেগে আপনার ক্ষতি হতে পারে।
সঠিক সময় টিকা গ্রহণ: গর্ভবতী মায়ের আরেকটি যত্ন হলো সঠিক সময়টি খেয়াল গ্রহণ। যেমন গর্ভধারণের পাঁচ থেকে আট মাসের মধ্যে দুটি টীকা গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজনীয়। এতে করে আপনার গর্ভের সন্তানকে অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি বা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

দীর্ঘ পথ ভ্রমণ না করা: গর্ভবতী থাকা অবস্থায় দীর্ঘ পথ চলা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ বেশি হাঁটাচলা করলে পেটে বাচ্চা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষ করে শেষের কয়েক মাস একবারে ভ্রমণ নিষেধ কারণ এই গর্ভধারি সময় দীর্ঘ ভবন মা এবং শিশুর জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে।

বিশ্রাম নেওয়া এবং ঘুমানো:গর্ভবতী কালীন সময়ে কোন বিষয়ে অতীতে চিন্তা বা টেনশন করা যাবেনা প্রচন্ড পরিমাণে বিশ্রাম এবং ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে এবং ঘুম বেশি বেশি করে পারতে হবে। এগুলো সব কিছু যদি সঠিকভাবে ঠিকঠাক থাকে তাহলে বলব তাহলেই সময়ে সুস্থ এবং পারবেন যা মা এবং শিশু দুজনের জন্য খুবই ভালো।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা:গর্ভবতী কালীন সময় সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিয়মিত গোসল করতে হবে হাত বা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং মাথার চুল দাঁত এবং সকল কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। এক কথা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় নিজেকে অনেকটাই যত্নের মধ্যে থাকতে হবে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরা: গর্ভবতীকালীন সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ঢিলে গেলা পোশাক পরা। আপনি ঢিলেঢালা প্রসব করা ফলে পেটে চাপ লাগতে পারবেন না আর আপনি যদি টাইপ পোশাক করেন এমন পোষা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা জামদানি পোশাক পড়ে থাকতে হবে যাতে সব সময় শরীরে হাওয়া বাতাস লাগে।

শেষ কথা: সিজারে পরে মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত সিজারের পর মায়ের জন্য কিভাবে নিতে হবে সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সিজারের কত দিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় সকল বিষয় আজকে আলোচনা করা হলো। আশা করি আপনারা এইসব বিষয়ে খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি আরো কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন।

আর যদি এরকম আরো আর্টিকেল করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন বা ফলো করুন। কারণ আমরা এই ধরনের তথ্য নিত্য নতুন পাবলিশ বা পোস্ট করে থাকি এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url