কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান - ভ্রমণ গাইড

প্রিয় পাঠক, কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আপনি কি জানেন যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর যেগুলো ঘোরেতে অনেক ভালো লাগে। এই কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান কক্সবাজার জেলার মধ্যে সবচেয়ে সেরা। যেখানে ঘুরলে অনেক ভালো লাগে তা ছাড়াও স্থান ভ্রমণ গাইড এর সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাই আপনি যদি কক্সবাজার জেলায় ঘুরতে যান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
কক্সবাজারে সেরা ১০টি আকর্ষণীয় জায়গা
নয়তো আপনি গিয়ে এই স্থানগুলো ভমন করতে পারবেন না তা ছাড়াও আপনি দর্শনীয় স্থান ঘোরার জন্য ভ্রমণ গাইড কোথায় পাবেন এ সম্পর্কেও জানানো হবে। তাই আপনি যে কক্সবাজার জেলায় ঘুরতে যেতে চান তাহলে আমাদের এই কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন।
পোস্ট সূচিপত্র:কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানানো হলো

কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান

১। কক্সবাজার বিচ
কক্সবাজার ব্রিজ এটি আমাদের সবচেয়ে সুপরিচিত একটি জায়গা যেই জায়গা থেকে বলা হয় কক্সবাজারে মেন পয়েন্ট। এখানে হাজার হাজার টুরিস্ট দেশ-বিদেশ থেকে সমুদ্র ভ্রমণ করতে আসেন। এই সমস্ত সৈকতের পুরো বুক জুড়ে ঢেউ আর ঢেউ যেগুলো দেখে অনেক বিনোদন পায়। এই জন্য এই জায়গাটাকে কক্সবাজারের মেন জিরো পয়েন্ট হিসেবে গণনা করা হয়েছে। এই সমুদ্র সৈকতের বীচে হাজার হাজার টুরিস্ট ভ্রমণ করে থাকে।
২। মেরিন ড্রাইভ সড়ক
বাংলাদেশের হাইও রোডের অধীনে ৮০ কিলোমিটার লম্বা কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ডাইম সড়কটি কক্সবাজার ভ্রমণকারী পর্যটকদের কাছে খুবই একটি আকর্ষণীয় স্থান। এই জায়গাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হচ্ছে এই মেরিন ড্রাইভ সড়ক যার এক পাশে রয়েছে সু বিশাল বিশাল পাহাড় আর আরেক পাশে রয়েছে বিশাল সমুদ্র যা আপনার মনকে খুব সহজে সুন্দর করে তুলবে।

তাছাড়া আপনি যদি ইরানি ও স্মৃতি বিচ এ যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই মেরিন ড্রাইভ রোডের উপর দিয়ে যেতে হবে। এই মেরিন ড্রাইভ রোড টি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্ডারে রয়েছে। একপাশে সমুদ্র আরেক পাশে পাহাড় এই সৌন্দর্য টা যদি আপনি উপভোগ করতে চান আপনাকে অবশ্যই মেরিন ড্রাইভ রোড এ যেতে হবে। আর আপনি যদি মেরিন ড্রাইভ রোডে যান তাহলে আপনি খুব সহজে ইরানি বীচে যেতে পারবেন।
৩। ইরানি বিচ
কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য ও সমুদ্র সৈকতের অপরূপ সৌন্দর্য যদি আপনি উপভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইরানি বীর্য ভ্রমণ করতে হবে। এই বীজ টি অপরূপ সুন্দর হওয়ার কারণে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে আসে এই বীচে।

অপরদিকে কক্সবাজার বিচে প্রকৃতি সৌন্দর্য খোলামালা ভাবে উপভোগ করা যায় না। আর আপনি ইরানি বীচে গিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সমুদ্র সৌন্দর্য দুইটি মন খুলে উপভোগ করতে পারবেন। ইরানি বীজ হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে প্রায় পাঁচ কিলো দূরে অবস্থিত। আপনি যদি ইরানি বিছে যান তাহলে অনেকগুলো আনারকলি গাছ দেখতে পাবেন।
৪। হিমছড়ি পাহাড়
কক্সবাজার জেলার আরো একটি সুন্দরতম স্থান হচ্ছে হিমছড়ি পাহাড় কক্সবাজার গেলে পর্যটকরা অবশ্যই হিমছড়ি পাহারা যায়। কারণ হচ্ছে আপনি যখন মেরিন ড্রাইভ রোডের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ইরানি বীজ দিয়ে সামনের দিকে যাবেন পাঁচ থেকে সাত কিলো দক্ষিণ পাশে গেলেই হিমছড়ি পাহাড় পড়ে।

যার এক পাশে রয়েছে সুবিশাল পাহাড় আর অপর পাশে রয়েছে মনমুগ্ধ করা সমুদ্র সৈকত। তাছাড়া হিমছড়ি পাহাড়ে একটি মিষ্টি পানি ঝরনাও রয়েছে। প্রকৃতির পরিপূর্ণ সৌন্দর্যে ভরা হিমছড়ি পাহাড় মূলত মানুষ কে আকর্ষণ করে কেন্দ্র বিন্দু থেকেই।
৫। লামাপাড়া খিয়াং
এই বৃষ্টি মূলত কক্সবাজার জেলার বকশীখালী নদীর তীরে অবস্থিত একটি সুন্দর জায়গা। যা যা ফতেকার কুল ইউনিয়ন থেকে এক কিলো দূরে 80 খালী নদীর পাড়ে উনিশ শতক এর চৌধুরী লাল পাড়া খিনা নির্মিত করে। যা কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের আলাদা একটি আকর্ষণ করে থাকে।

এই খেয়াং এ রয়েছে মার্বেল পাথরে তৈরি ছোট ও বৃদ্ধদের মূর্তি যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহ ত্তম হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। কক্সবাজার গেলে এরকম অনেকগুলো কি খেয়ান দেখা যায় যার মধ্যে ২৩ টি খেয়াল রয়েছে। তাই এটিকে বলা হয় বৌদ্ধ ধর্মীদের জন্য একটি পবিত্র স্থান।
৬। মহেশখালী
মহেশখালী দ্বীপ মূলত কক্সবাজার শহর থেকে ১০ কিলো দূরে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে স্পিডবোট বা নৌকা তে যেতে হয়। যা কক্সবাজার থেকে পশ্চিমে ১০ কিলো যেতে হয়। তাছাড়াও এই দ্বীপে রয়েছে হিন্দু ধর্মীদের জন্য আদিনাথ মন্দির । আদিনাথ মন্দিরটি হচ্ছে সমুদ্রের মাঝখানে যা পুরো বিশ্বের হিন্দু ধর্মীদের কাছে খুবই একটি জনপ্রিয় স্থান। এই মহেশখালী দ্বীপে অনেক পাহাড়ের চূড়ায় মূলত আদিনাথ মন্দিরটি অবস্থিত ভরিয়ে রাখছে।

প্রতিবছর এই দিক টি দেখতে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মী বা তার পাশাপাশি পর্যটকরা এ মহেশখালী দ্বীপে আধিনাথ মন্দির টি দেখতে আসে। স্থায়ী বাসিন্দারা বলেছেন যে এই মহেশখালী দ্বীপটি সুন্দর্য দেখতে গিয়ে একটি মুক্তি পাওয়া যায়। যেটিকে নামকরণ করে পরবর্তীতে আদিনাথ মন্দির হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। এই মহেশখালী দ্বীপে আদিনাথ মন্দিরের পাশাপাশি পাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালো দেখা যায়।
৭।সোনাদিয়া দ্বীপ
কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলো দক্ষিণ এই মহেশখালী উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত সোনা দিয়া দ্বীপ অবস্থিত। এ দ্বীপটি ম অত্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। কারণ এর চারপাশে রয়েছে ছবি সাল সমুদ্র সৈকত, অসংখ্য ছোট বড় খালু নদী, তিন দিন আর্য হোক। তাছাড়া এই দীপ্ত ছোট বড় অনেক খাল বিলে অবস্থিত। যে খাল মিলে যে মাছগুলো হয় সে মাছগুলো খেতে বা স্বীকার করতে অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আরও সৌন্দর্যের কারণ হচ্ছে।

এই সোনা দিয়া ছোট্ট দ্বীপটির মোট আয়তন হচ্ছে প্রায় ১০ কিলোমিটার। তাছাড়াও এই দিব্যিতে রয়েছে প্রচুর আকর্ষণীয় সব ঝিনুক তাছাড়া অনেক পর্যটকরা এই দ্বীপে ঘুরতে গিয়ে আকর্ষণীয় সব ঝিনুক গুলো সুন্দর বলে নিয়ে যায় তার বাসায়। এক কথায় আপনি যদি দ্বীপ ঘুরতে যান তাহলে সবচেয়ে সুন্দরতম ঝিনুক দেখতে পাবেন।
৮। সহপরির দ্বীপ
এই বিচ টি টেকনাফ জেলার নাফ নদীতীরে অবস্থিত। এই বিচ থেকে কিছু দূর গেলেই আপনার চোখে পড়বে মায়ানমার বর্ডার এলাকা। এই বিচ টির চারদিকে সমুদ্র ও পাহাড়ে ঘেরা যা আপনার মনকে খুবই মনোমুগ্ধকর করে তুলবে। এই বিচ টি টেকনাফ জেলা থেকে 12 কিলো দূরে অবস্থিত এ দিকটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূখণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে আছে।

সহপরি দ্বীপের মূল আকর্ষণ হচ্ছে ৩ পাশে সমুদ্র আর একপাশে বিশাল পাহাড়। এই পাহাড়ের বুকে অবস্থিত কিছু জেলেপাড়া যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ছোট ছোট ঘর বাড়ি মানুষের বসবাস এবং সংগ্রামকৃত জীবন। এই দিনটিতে যদি আপনি একবার যান তাহলে খুব সহজে আবেগী হয়ে পড়বেন ওই জেলেদের জীবনযুদ্ধ দেখে।
৯। সেন্ট মার্টিন
কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত এই সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সর্বোচ্চ দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপটি। এই দ্বীপটি প্রায় কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১১০ কিলো দূরে অবস্থিত ১৮ বর্গ কিলোমিটার একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। স্থায়ী বাসিন্দাদের ভাষায় বলা হয় এ সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নারীকেল জিন দ্বারা বলে ডাকে তারা। কারণ আপনি যদি এই সেড মার্টিন দ্বীপে যান তাহলে অসংখ্য ডাব গাছ দেখতে পাবেন।

এই অপূর্ব সৌন্দর্যে ভরা দীপ্তি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটক কেন্দ্র। সুবি বিশাল নীল আকাশের তলে এই সেন্ট মার্টিনের নীল জলে মিলিত মিতি পানি। তাছাড়া এই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মূল সৌন্দর্য হলো এই দ্বীপটিতে সারিসারি হাজার হাজার নারিকেল গাছ দেখা যায়। যা এই দ্বীপকে অপরূপ সৌন্দর্য তে ভরিয়ে তুলেছে।
১০। কক্সবাজার রেডিয়ান ফিস ওয়াল্ড
বাংলাদেশের প্রথম রেডিয়েন্ট ফিস্ট ওয়ার্ল্ড হচ্ছে কক্সবাজারের এই একুরিয়াম টি। যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ টি নন্দাধিকভাবে এসে একুরিয়াম সাজানো রয়েছে এই ফিশ ওয়ার্ল্ডে। এই ফিস ওয়ার্ল্ডে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ। এ যেন সমুদ্রের নিচে এক স্বপ্নের জগত যেখানে গেলে কল্পনা ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না। এই রেডি এন্ড ফিস্ট ওয়ার্ল্ড একুরিয়াম টি মোট আটটি ভাগে বিভক্ত।

এই একোর আন্টির ভিতরে থ্রি নাইট মুভি হল রয়েছে যেখানে অনেক বসার জায়গা রয়েছে।যেখানে দেশি-বিদেশী বিভিন্ন প্রকার পাখি দেখা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার থ্রিডি ফটো তোলার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এর ভিতর রয়েছে ডিজিটাল ফটো ল্যাব, পার্টি পয়েন্ট, শপিং কমপ্লেক্স,, কনফারেন্স রুম এরকম মোট আটটি বিভাগ রয়েছে। তাছাড়া আপনি যদি এই কমপ্লেক্সটের সাথে যান খুব সুন্দর বারবিকিউ পেয়ে যাবেন যা আপনার ভবনকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে।

আমাদের শেষ কথা:

কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি কক্সবাজার জেলার ভ্রমণ করতে চান তাহলে এই দশটি স্থান আপনার জন্য খুবই উপযোগী ঘোরার জন্য। আপনি যদি এই কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেন আশা করি আপনার অনেক ভালো লাগবে। আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে মতামত জানিয়ে যাবেন তাহলে আশা করি আপনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে কক্সবাজার জেলার সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান কোনগুলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url