ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে গেলে ফিরে পাবেন এবং ওষুধের নাম সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক, আমরা অনেকেই আছি যে যাদের আমাদের ঘ্রাণশক্তি খুবই কম বা আমাদের ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা কোন ধরনের খাবার বা কোন কিছু ঘ্রাণ পাচ্ছিনা। যদি আপনার সাথে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি বললে আপনি জানতে পারবেন কি কারনে ঘ্রান শক্তি কমে এবং কি করে ঘ্রাণ শক্তি বৃদ্ধি করতে হয়।
নাকি ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে গেলে কি করবেন
পোস্ট সূচিপত্র:ঘ্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ঘ্রাণ শক্তি কমে গেলে করণীয় - ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়ার কারণ

ঘ্রাণশক্তি মানুষের কমে যাওয়ার এটাও মোটেও ঘাবড়ানো মতো কোনো কারণ না। এ ধরনের সমস্যা যদি আপনার দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কেননা এই ছোট সমস্যার লক্ষণটি হয়তো কোন বড় সমস্যার লক্ষণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে জানাবো ঘ্রাণ শক্তি কমে গেলে ফিরে আনার উপায়, ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়ার কারণ, শক্তির লোক পাওয়ার কারণ, শক্তি ফিরে পাওয়ার উপায়, এবং ঘ্রাণ শক্তি ফিরে আনার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ঘ্রাণ শক্তির লোভ পাওয়ার কারণ  -ঘ্রাণ শক্তি হারানোর কারণ

বিভিন্ন কারণে আমাদের ঘ্রাণ শক্তি কমে যেতে পারে। হতে পারে এটি সাধারণ মাথাব্যথা বা সর্দি জ্বরের কারণে বা কোন ধরনের ভাইরাস এর কারণে বা করোনা ভাইরাসের মতো জটিল রোগের লক্ষণ হিসেবে হাঁস পাই। তাই ঘ্রাণশক্তি কমে গেলে কোনভাবে এটি নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। তো চলুন ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে জানা যাক

ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়ার কারণ:মস্তিষ্কের সমস্যা। টিউমারের লক্ষণ হিসেবে ঘ্রাণশক্তি কমে যেতে পারে এবং এলবিএমআর কিংবা মস্তিষ্কের অপারেশন হতে পারে ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়ার কারণ। যদি আপনার সর্দি বা জল ছাড়া ঘ্রান শক্তি কমে যায় তাহলে সেটি হতে পারে মস্তিষ্কের সমস্যার কারণে। তাই এই ধরনের সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে হবে অনেক বেশি এবং এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়ার কারণ-দীর্ঘদিন যাবত সর্দি:আপনার যদি দীর্ঘদিন ধরে জ্বর এবং সর্দি হয় তাহলে ঘ্রাণ শক্তি কমে যেতে পারে। তাই যদি আপনার এই ধরনের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নিবেন।

ঘ্রান শক্তি হারানোর কারণ-নাকে পলি পাস:আপনার যদি পলিপ আর জড়িত কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি গ্রহণ শক্তি হারাতে পারেন। কেননা নাকে পলিপাস থাকার কারণে অনেক সময় ঘ্রাণ লোভ পেতে পারে। তাই যদি নাকে পলি পাস থাকে তাহলে অবশ্যই জরুরিভাবে চিকিৎসা নিয়ে পলিপাস ভালো করতে হবে।

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:এমন কিছু পাওয়ারফুল ওষুধ আসে যা আপনি সেবন করার পরে আপনার ঘ্রাণ শক্তি কমে যেতে পারে। বিশেষ করে হার্টের রোগীরা যে ওষুধগুলো খায় সে ওষুধ গুলো খেলে আপনার ঘ্রাণ শক্তি কমে যাবে। তাছাড়াও আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে নাকের ভিতর কোন ধরনের ড্রপ দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে।

রেডিও থেরাপি:আপনি যদি কোনো কারণে রেডিও থেরাপি নিয়ে থাকেন তবে সে রেডিও থেরাপির ফলে আপনার ঘ্রাণ শক্তি কমে যেতে পারে। কেননা রেডিও থেরাপীর নেওয়ার ফলে অনেক সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়।

পার্ক ক্লাস রোগ:আপনাদের পাওয়ার ক্লাস রোগ থেকে থাকে তাহলে আপনি কোন কিছু গ্রহন পাবেন না বা এক কথা বলতে গেলে কোন জিনিসে ঘ্রাণ থেকে বঞ্চিত থাকবেন। তাই আপনার যদি এই ধরনের রোগ থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

মদ্যপান:আপনি যদি অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকেন তাহলে আপনার ঘ্রাণ শক্তির লোভ পাবে। তাই আপনি যদি ঘ্রাণ শক্তি হারাতে না চান তাহলে মধ্যখান ছেড়ে দিন।
অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান:আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান গ্রহণ বা সেবন করেন। তাহলে আপনার ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে কেননা অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে বিষাক্ত ধোঁয়া নাকের ভিতর ঢোকার ফলে নাকের ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যায় সেজন্য আপনার ঘ্রাণ শক্তি বাঁচাতে ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে।

নাকের কনজাকশন বা নাক বন্ধ:দীর্ঘদিন যদি আপনার সর্দি বা কোন কারনে লাভ বন্ধ হয়ে থাকে অর্থাৎ নাকের কনজাকশন হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে। তা এ ধরনের সমস্যা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আপনার যদি নাকের কনজাকশন ঠিক হয়ে যায় তাহলে আপনার ঘ্রাণ শক্তি ফিরে আসবে।

বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস:আপনি যদি বিভিন্ন রকম অসুখ বা ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন বা আপনি যদি কোন মারাত্মক একটি রোগে আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঘ্রাণ শক্তি লোক পেতে পারে। কারণ ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ সে ক্ষেত্রে আপনার ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

তাই আপনার যদি ঘ্রাণ শক্তি কমে যায় ঘ্রান শক্তি কমে গেল করণীয়, ঘ্রান শক্তি হারানোর কারণ, ঘ্রানশক্তির লোক পাওয়ার কারণ, ঘ্রাণ শক্তি ফিরে আনার উপায়, ঘ্রাণশক্তি ফিরে আনার ওষুধ আপনি যদি এই তথ্যগুলো জানতে এই আর্টিকেলটি পুরোটাই ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ঘ্রাণ শক্তি কমে গেলে তা ঘ্রাণ শক্তি বৃদ্ধি করার উপায়

যদি কোন কারনে আপনার ঘ্রান শক্তি কমে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কেন নাগ্রহানি শক্তি কমে গেলে অবশ্যই আপনি কোন খাবার বা কোন কিছুই ঘ্রাণ পাবেন না। তাই ঘ্রান শক্তি ফিরে পাওয়ার গ্রহণ শক্তি কমে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে প্রথমে হলো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। আবার কিছু ঘ্রাণ শক্তি ফিরিয়ে আনা ঘর ও উপায় রয়েছে।

আপনি যদি নিয়মিত রসুন খান বা রসুনের সেন্ট গ্রহণ করেন তাহলে আপনার নাকের কোন সমস্যা থেকে থাকলে ঠিক হয়ে যাবে। আবার পারব কি আর পারমু কেয়ার নামের ভিনেগার যদি আপনি এর sent গ্রহণ করেন। তাহলে আপনার নাকের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কি কারণে ঘ্রান শক্তি কমে যায় এবং প্রাণশক্তি কমে গেলে কি করে ঘ্রাণ শক্তি বাড়াতে হয়।

ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাওয়ার ওষুধ - ঘ্রাণশক্তি কমে গেলে করণীয়

আপনার যদি কোন কারণে ঘ্রান শক্তি নষ্ট হয়ে যায় তাই তাহলে আপনি অনেক টেনশনে থাকবেন যে কি করলে আমার ঘ্রাণশক্তি ফিরে আসবে। তো চলুন কিছু ঘ্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনার ওষুধ বাজারে আছে। রোগের ধারণ এবং ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে রোগীদের ওষুধ দিতে হবে। নিচে ঘারহান শক্তি ফিরিয়ে আনার ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই আপনার যদি ঘ্রাণ শক্তি নষ্ট হয়ে থাকে আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন।

ঘ্রাণ শক্তি ফিরে পাওয়ার ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে যে ওষুধগুলো খাওয়া যাবে কিনা। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত বা কারো পরামর্শ নিয়ে নিজে নিজে কোন ওষুধ সেবন করবেন না। কেননা আপনি যদি নিজে নিজে ওষুধ গ্রহণ করে সেটি আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কখনো কোন ধরনের রোগ হলে নিজে নিজে ওষুধ গ্রহণ করবেন।

না বা কিনবেন না। অনেকেই আছেন যে এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে অপর আরেকজনের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আমরা ওষুধ কিনে খাই এটি কখনো করা যাবে না। আপনি যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনি অনেক বড় সমস্যায় পড়বেন।
সম্পর্কে আলোচনা নিচে ঘ্রান শক্তি ফিরে ভার ওষুধ এর নাম উল্লেখ করা হলো
  • Ciprofloxacid
  • Amitriptyline
  • Metronidazole
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গুলো গ্রহণ করবেন নয়তো নিজে নিজে গ্রহণ করার চেষ্টা করলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url