ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা যা করণীয়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হলে কি হয়। ও ঘরের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা ভালো করার উপায় গুলো কি কি।আজকে এই বিষয়ে জানব আপনি যদি এই সমস্ত বিষয় না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটা আপনার জন্যই এই আর্টিকেলটি করলে আপনি জানতে পারবেন যে ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয় কি কি।
ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা
এবং আরো জানতে পারবেন যে ঘাড়ের রগ কেন টেনে ধরে এবং এগুলো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিভাবে। কারণ আমাদের কম বেশি সকলেরই ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হয়। তাই আমাদের প্রত্যেককে জানতে হবে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় গুলো কি কি।

ঘাড়ের রগ টেনে ধরার কারণ

আমাদের অনেকেরই অনেক সময় দেখা যায় যে হঠাৎ হঠাৎ ঘাড়ের রগ টেনে ধরে। কিন্তু এই ঘাড়ের রগটা কেন টেনে ধরে আমরা এটাই অনেকে জানিনা ঘাড়ের সমস্যা কি অনেক বড় সমস্যা তাই এটাকে নিয়ে অবহেলা করা যাবে না তো জেলে ফেলুন ঘাড়ে রগ টেনে ধরার কারণ। আসলে আমরা যখন একাধিক সময় ধরে কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকি। আমাদের যখন মাথা চলাচল বা মুখ না করে।

 তখন এক জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে থাকা আবার টাকা থাকার কারনে সে ঘাড়ের রগ সেই দিকে শক্ত হয়ে যায়। এবং তখনই আমাদের ঘাড়ের রগ টেনে ধরে যখন আমরা কোন কিছুতে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য মাথা রাখে কিন্তু মাথা নড়াচড়া করি না তখন সে রগ এক জায়গায় স্থির ভাবে থাকার কারণে শক্ত হয়ে যায় এবং টেনে ধরে টেনে ধরে আবার আমরা অনেক সময় দেখা যায় যে মাথার উপর অনেক ওজন নেই।

যেমন অনেক সময় আমরা মাথায় করে অনেক কিছু নিয়ে যায় তখন মাথায় হালকা ব্যথা পাওয়ার ফলে ঘাড়ের রগ আস্তে আস্তে টেনে ধরে কিন্তু আমরা তখন সেটা বুঝতে পারি না যখন বেশি হয়ে টেনে ধরে তখন আমরা বুঝতে পারি যে ঘাড়ে আমাদের ব্যথা হচ্ছে। এইসব কারণে ঘাড়ের রগ টেনে ধরে তাহলে আপনি জানতে পারলেন যে ঘাড়ের রগ টেনে ধরার কারণ গুলো কি কি।

ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ

আমরা অনেকে মনে করে থাকি ঘাড় ব্যথা হলে কোন একটা সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়। এটা আসলে যতটা সঠিক নয় অনেক সময় ঘাড় ব্যথা হলে কোন রোগের লক্ষণও দেখা দেয় আবার দেখা নাও দিয়ে থাকে বেশিরভাগ নাই দেখা দিয়ে থাকে।যদি অতিরিক্ত সময় ধরে ঘাড়ে ব্যথা হয়। বা একাধিক সময় ধরে যদি ঘাড়ে ব্যাথা হয় তাহলে আবার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে যখন আমাদের ঘাড়ে রগ চিকন হয়ে যায়।

তখন আমাদের মাঝে মাঝে ঘাড়ের ব্যথা সমস্যাটি দেখা যায় আবার যখন আমাদের ঘাড়ের রগ দুর্বল হয়ে পর এবার মারা যায়। তখন এই সমস্যাটা আরো বেশি দেখা দিয়ে থাকে কারণ রগ টি মারা যাওয়ার ফলে ঘরের রক্ত চলাচল ভালোভাবে করতে পারেনা। তাই সে রক্ত প্রেসারের ফলে বা চাপের ফলে ঘাড়ে একাধিক সময় ধরে ব্যথা হয়ে থাকে। আবার যখন অনেক সময় ঘাড়ে ভিটামিন শর্ট হয়ে যায়।

তখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আমরা ঘাড় সোজা করে দাঁড় করাতে পারি না আর যখন কোন দিকে তাকাই ব একাধিক সময় ধরে শুয়ে থাকি তখন আমাদের ঘাড় লেগে যায়। যদি আমরা এই লক্ষণগুলো বুঝতে পারি তাহলে বুঝে নিতে হবে যে কোন না কোন সমস্যা হয়েছে।

ঘাড় ব্যথা হলে করণীয়

আমাদের যদি ঘাড়ে ব্যথা হয়। আমরা কি করে সেই ব্যথা আসলে ভালো করবে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা আবার জানি কিন্তু তাও ভাল হয় না তো জেনে ফেলা যাক যদি ঘাড় ব্যথা হয় ঘরো উপায় কিভাবে ঘাড় ব্যথা ভালো করা যায়। যখন আমাদের ঘাড় ব্যথা হবে তখন আমরা ঘারে টিপাটিপি না করে।

ঘরোয়া উপায় চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করব প্রথমে আসলে যেভাবে চিকিৎসাটা নিব প্রথমে সরিষার তেল হালকা গরম করে নিব এবং তার ভিতরে রসুন লবঙ্গ এলাচ এগুলো দিয়ে দিও এবং ভালো করে।সে তেলটাকে জাল করে নিব। সে তেলটা ভালো হয়ে জাল হয়ে গেলে সেটাকে আবার রেখে দিয়ে ঠান্ডা করব।

করে ঘাড়ের দেশ স্থানে ব্যথা সে স্থানে তেলটা দিব দিয়ে হালকা হালকা করে মাসাজ করে দিব। এবং দেশ স্থানে ব্যথা সেই স্থানে একটু ভর দিয়ে মাসাজ করব যাতে তেলটা শরীরের ভিতরে ঢুকতে পারে। আর এভাবে যদি দিনে ৩-৪ বার করে ব্যবহার করা হয় তাহলে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ব্যথা আসলে অনেকটাই কমে যাবে। এবং এভাবে যদি মুক্তি না পাওয়া যায় তাহলে একটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।

ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা

অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হয়। কিন্তু কেন হয় সেটা আমরা অনেকেই জানিনা তো চলুন জেনে ফেলা যাক যে সে ব্যথাটা কি কারণে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা কোন জায়গায় যাওয়ার সময় গাড়ি জানালা দেখতে এক সাইডে তাকিয়ে থাকি হয়তো ডান সাইডে আবার হয়তো কখনো বাম সাইডে একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আমরা যে সাইটটাতে তাকিয়ে থাকি মনে করা যাক যে আমার ডান সাইডে তাকিয়ে থাকি।

এক দিকে অসংখ্য সময় তাকে থাকার কারণে আমাদের ঘাড়ের রগ স্থির হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচল ক্ষমতা কমে যায়। সেটা আস্তে আস্তে পরে কোন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে সেটা ঘাড়ের একটি সমস্যায় দেখা দিয়েছে যেমন ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা পরিণত হয়েছে। আবার অনেক সময় যখন আমরা মোবাইল টিপি তখন কোন কিছুতে বসে কিন্তু মোবাইল টিপি অসংখ্য সময় আমরা যখন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি।

আমরা যখন স্থির ভাবে মাথা বা ঘার না নারিয়ে স্থির ভাবে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি একাধিক ভাবে তাকিয়ে থাকার ফলে আমাদের ঘাড়ের রগ শক্ত হয়ে যায় সে কারণে আমরা যখন ঘাড় নড়াতে যাই তখন আমাদের ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা করে। আবার আমরা অনেক সময় যখন বিছানাতে ঘুমাই তখন আমাদের মাথার বালিশ অনেক সময় সাপোর্ট আবার অনেক সময় উঁচু উঁচু হয়। মাথা যখন সমান ভাবে স্থির ভাবে শান্ত হয়ে থাকতে না পারে।

তখন আস্তে আস্তে বা এক কাজ হয়ে শুয়ে থাকি সেভাবে ঘাড়ের রগ বেহুশ হয়ে যায়। এবং রক্ত চলাচল ক্ষমতা খুবই কমে যায় যার ফলে রক্ত চলাচল করতে পারেনা ঠিকভাবে এভাবে অতিরিক্ত সময় থাকার কারণে এটি আস্তে আস্তে ঘাড় ব্যথায় পরিণত হয়। আবার অনেক সময় আমাদের এই কারণে ঘাড় ফুলেও যায় তাহলে আমরা জানতে পারলাম যে আমাদের ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা করার কারণটা আসলে কি।

ঘাড়ের একপাশে ব্যথা

অনেক সময় দেখা যায় যে ঘাড়ের আমাদের একপাশে ব্যথা হয়ে যায়। কিন্তু এই ব্যথাটা কি কারনে হয় সেটা আমরা অনেক কিছুই জানি না আমরা যখন বাইকটাই চালাই তখন আমরা অনেক সময় ধার করে এদিক ওদিক তাকায় সেই তাকানোর ফলে আমাদের ঘাড়ের রগে টানাটানি লাগে সে টানাটানির ফলে রোগ গুলো একটু দুর্বল হয়ে পড়ে। সে দুর্বল হলেও অনেক সময় ব্যথা দেখা দেয়। আবার লক্ষ্য করলে দেখা যায়।

যে এই ব্যথা ঘাড়ের ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হয়। আবার যখন আমরা বা ঘুমাতে যাই ঘুমোতে গিয়ে আমরা অনেক সময় এক কাজ হয়ে ঘুমিয়ে থাকি বা এক পাশ হয়ে ঘুমিয়ে থাকি। সে এক পাশ হয়ে ঢাকার ফলে আমরা যখন একাধিক সময় ধরে এক পাশ হয়ে ঘুমিয়ে থাকি বা শুয়ে থাকি। তখন অতিরিক্ত সময় এক কাজ হয়ে থাকার ফলে আমাদের ঘাড় কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ হয়ে যায় বা এক কথায় বলতে গেলে রক্ত চলাচল ক্ষমতা কমে যায়।

তখন আমাদের শরীরের রগ গুলো রক্ত চলাচল সংযুক্ত এমন একটা পায় না সেই ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং সে কারণে আমাদের ঘাড়ের যে কোন এক পাশে ব্যথা হয়ে যায়। হয়তো সেটা ঘাড়ের ডান পাড়ে হতে পারে আবার বাম পাশে হতে পারে আবার অনেক সময় দেখা যায় ঘাড়ের মাঝখানে ব্যথাটা হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যথা হলে আমরা গরম তেল দিলের ভেতর রসুন লবঙ্গ এলাচ দিয়ে ভালো করে গরম করে সেই জায়গাটাতে মেসেজ করে দিব তাহলে সে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url