পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায় - হাত পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন

 প্রিয় পাঠক, আপনি কি জানেন পায়ের তালু ফাটার কারণটা কি আপনি যদি না জেনে থাকেন যে পায়ের তালু ফাটার কারণ আসলে কি তাহলে আমরা আপনাকে জানাবো যে পায়ের তাল আসলে কারণটা কি মূলত এই টাইমিং এবং অনেক কিছুর অভাবে পায়ের তালুকা ফাটে আর আপনি যদি হাত-পা ফাটা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্যই এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন যে আমাদের হাত পা কেন ফাটে।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়
এবং হাত-পা ফাটা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। আপনি যদি এইসব বিষয় জানতে একটু বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটা শুধু আপনার জন্যই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন যে হাত-পা ফাটে কি কারণে বা কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আর কি খেলে এটা ভালো হবে।

সারাবছর পা ফাটা

কমবেশি আমাদের সকলেরই শীতকাল এবং বিভিন্ন সময় পা ফেটে যায়। এবং পা ফেটে অনেক রক্ত বের হয়। যেটা দেখে আমরা অনেকে অনেক ভয় পেয়ে থাকি এবং পা ফাটলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা হয়। যেমন পা ফেটে গেলে আমরা হাঁটতে পারি না দৌড়াতে পারিনা ভালোভাবে চলাচল করতে পারি না এমন অনেক সমস্যায় দেখা দেয়।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমাদের যখন পা ফেটে যায় তখন রক্ত পড়ে এবং আমরা যখন ঘুমাতে যাই বিছানা থেকে আমাদের পা ঠেক্লে বা ঘষাঘষি লাগলে অনেক রক্ত বের হয়। মূলত পা ফাটে ভিটামিনের কারণে এবং অনেকের রক্তের সমস্যার কারণেও পা ফাটে যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম তাদেরই বেশিভাগ পা ফাটে। আবার অনেকের সারা বছরই পা ফাটে যে পা ফাটার কারণে তারা চলাফেরা করতে পারে না।

আমরা এটাকে মনে করি বংশগত রোগ যেটা বংশবিস্তার হয়ে সকলের পা ফাটা সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু না এটি বংশবিস্তার বা বাছুয়াছে রোগ না এটি একটি শারীরিক দুর্বলতার কারণে পা ফাটা গুলো দেখা দেয়।

হাত পা ফাটা দূর করার উপায়

আমাদের অনেক সময় শীতকালের ভিতরে ঠান্ডার কারণে হাত-পা ঠোঁট ইত্যাদি বিভিন্ন কিছু ফেটে যায়। আবার অনেকের সারা বছরই পা ফেটে থাকে যে পা ফাটার কারণে আমরা অনেক ধরনের অনেক টেনশন করে থাকি। বা অনেক বুকের মধ্যেই থেকে থাকে পা ফাটার ফলে আমরা হাঁটাচলা করতে পারে না ভালোমতো বা ঠিকঠাক মত মূলত যখন আমাদের হাত পা ফাটবে তখন আমাদের প্রথমে কুসুম কুসুম গরম পানিতে পা বা হাত ভিজিয়ে রেখে নরম করেনিতে হবে।

তারপরে জলি নামক ওষুধ দ্বারা পায়ের ময়লা বাদ জোয়ান গুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। চাইলে সেখানে জায়গাতে স্যাভলন বা ডিটল ও ব্যবহার করা যাবে। আবার এর থেকে যদি তাড়াতাড়ি ভালো করার কোন উপায় থাকে তাহলে আমাদের শেষ স্থানে ভায়োডিন লাগা দিতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে যে সে জায়গা তাই যাতে কোন মাছি মশা বসতে না পারে যদি পায়ের ফাটা জাগাতে মাসি এবং মশা বসে থাকে।

আর সেই জায়গাতে যদি কোন ইনফেকশন হয়ে যায় তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা হবে। নরমালি পা ফাটা ইনফেকশন থেকে সেই জায়গাতে পচন ভাব ধরতে পারে আর পচন ভাব ধরলে সেটা যদি ভালো করা না যায় সেটা এক ধরনের প্যারালাইসিসে পরিণত হবে। তাই আমাদের পা ফাটাকে একটি সিরিয়াস ধরতে হবে

পায়ের তালু ফাটার কারণ

মূলত পায়ের তালু ফাটে ভিটামিনের অভাবে যখন আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় বা ক্লান্ত হয়ে থাকে তখন আমাদের শরীর থেকে অনেকের ঘাম বের হবে আবার অনেকের বেরোয় না যাদের ঘাম বের হয় না একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তাদের বেশিরভাগ পাটে। কারণ তাদের ঘাম না বাড়ানোর ফলে তাদের ফাটা অংশ দিয়ে সেই শরীরের দুর্বলতা বা ক্লান্তি গুলো বের হয়ে যায়।

এবং এটাও একটু লক্ষ্য রাখতে হবে যে শরীরে ভিটামিন কম না রক্ত সমস্যার কারণে পা ফাটছে যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় প্রথমের রক্ত টেস্ট করে নিতে হবে বা ব্লাড টেস্ট করে নিতে হবে। আর সে ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখতে হবে যে রক্ততে তো কোন সমস্যা আছে না এমনিতে পা ফাটছে। অনেক সময় দেখা যায় যে যখন মানুষের শরীরের রক্ত সমস্যা হয় তখন হাত-পা সহ শরীরের অনেক অংশে ফেটে যায়।

সে ফাটানোর জায়গা গুলো দিয়ে অনেক শরীরের ময়লাযুক্ত রক্ত ও ঘাম বের হয়। তাই যদি এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে প্রথমে ব্লাড টেস্ট করে নিতে হবে নিয়ে দেখতে হবে যে শরীরের রক্ত কোন সমস্যা আছে কিনা যদি শরীরের রক্ত কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে অন্য স্টেপ ব্যবহার করতে হবে।

আর সব সময় যদি পা ফাটে তাহলে ভিটামিন যুক্ত খাবার একটু বেশি খেতে হবে। যেমন বিশেষ করে ভিটামিন সি কারণ ভিটামিন সি তে টক থাকার ফলে শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ হয় যদি সমস্যা বলে দেখা যায় তাহলে বেশি বেশি আমলকি খেতে হবে আমলকিতে অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।

পায়ের পাতা ফাটার কারন

মূলত কম বেশি আমাদের সকলের পা ফেটে থাকে এবং পায়ের তালুও ফেটে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা যে কি কারণে পা বা তালু ফাটে।আসলে এ পায়ের পাতাটা ফাটে ভিটামিনের অভাবে এটা সব ধরনের ভিটামিন হতে পারে এ বি সি ডি সব ভিটামিন ই।যখন আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হয় বা আমাদের শরীর যখন দুর্বল হয়ে পড়ে। তখনই পা ফাটে এবং অনেক রক্ত বের হয় অনেক পা ব্যথা হয়ে থাকে।

আবার অনেক সময় যখন আমরা অতিরিক্ত হাঁটাচলা করি তখনও আমাদের কিন্তু পা ফেটে যায়। এবং এতে আমাদের অনেকের সমস্যা হয় কারণ শরীরের সবচেয়ে দামি অংশ বলতে গেলে পা যেটা আমাদের প্রতি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয়। যখন পাই অসুস্থ থাকে তখন হাঁটাচলা বা বিভিন্ন কিছুতেই সমস্যা হয়।

তাই বা কে কখনো দুর্বল করা যাবেনা সব সময় আমাদের পায়ের যত্ন নিতে হবে। যাতে করে আমাদের পা দুর্বল হয়ে ফেটে যেতে না যেতে পারে কারণ ফেটে গেলে হাজারো সমস্যায় দেখা দেয়। এ কারণে আগে থেকে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে যে আমাদের পা যাতে না ফাটে।

পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের কমবেশি সকলেরই পা ফেটে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে কি করে পা ফাটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বা ভালো করা যায় আজকে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব পা পাটা থেকে কি করে মুক্তি পাওয়া যায়। মূলত সবার ফাটে না আবার সবারই পা ফাটে যাদের পায়ের তালু ঘামে তাদের পা ফাটে না কারণ পায়ের তালু ঘামার কারণে তার পায়ের যে ময়লা গুলো থাকে বা রসালো গুলো থাকে সেটা ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়।

এবং এর কারণে অনেকের পা ফাটে না আর যদি পা ফেটে যায় তাহলে প্রথম আমরা কয়েকদিন পা কে গরম পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেব। এবং এটা খেয়াল রাখবো যে পায়ের শুষ্ক বা শক্ত চামড়াগুলো যাতে নরম হয়ে যায়। তারপর কোন কিছু সাহায্যে আস্তে আস্তে মাকে ঘষা দিব এবং মরা চামড়া এবং ফাটা অংশগুলো তুলে ফেলবো সমান করে ফেলব।

তারপর সে ফাটা জায়গা বা পরিষ্কার করার জায়গাতে জলি নাম ক ওষুধ দিব তারপরে ভায়োডিন দিয়ে ভালো করে। সে পায়ের ফাটাফাটা জায়গা গুলোতে ঢুকিয়ে দেবো ভায়োদিন ঢুকিয়ে দিব আর খেয়াল রাখব যে পা থেকে কে রক্ত বের হচ্ছে কিনা যদি এভাবে না কমে তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপ সুল পায়ে দিয়ে দিব। ই কাপ ক্যাপসুল পায়ের ওরসকো চামড়া এবং শুষ্কতা বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করে। যে কারণে যদি পা ফেটেও থাকে সেটা ভালো হয়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফাইসাল ২৪ ওয়েবসাইটটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url